স্ট্যাচু অফ পোভার্টি •|• Statue of Poverty

Under Construction

ভিপিডি (VPD) কি এবং কিভাবে ইউনি-এসিস্টের মাধ্যমে ভিপিডি করাবেন! - সমস্যার সমাধান

কিছু জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় যেমন- TU München, TU Ingolstadt ইত্যাদিতে আবেদন করার জন্য ভিপিডি জমা দিতে হয়। তো এই ভিপিডি (VPD) আসলে কি এবং কি...

Search This Blog

Blog Archive

Mail Instagram Pinterest RSS
Poverty Menu

ভিপিডি (VPD) কি এবং কিভাবে ইউনি-এসিস্টের মাধ্যমে ভিপিডি করাবেন! - সমস্যার সমাধান

কিছু জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় যেমন- TU München, TU Ingolstadt ইত্যাদিতে আবেদন করার জন্য ভিপিডি জমা দিতে হয়। তো এই ভিপিডি (VPD) আসলে কি এবং কিভাবে তা করাতে হবে তা নিয়ে এই পোস্টে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

- সংক্ষেপে ভিপিডি

ভিপিডি হচ্ছে ইউনি-এসিস্ট থেকে ইস্যু করা একটা ডকুমেন্ট বা সনদ যেটায় জার্মান গ্রেডিং সিস্টেমে আপনার গ্রেড, একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড, একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্সে আবেদন করার জন্য আপনার যোগ্যতা আছে কি নেই তার উল্লেখ থাকে।

- ভিপিডির একটা নমুনা



- যে কারণে ভার্সিটি আপনার কাছে ভিপিডি চাচ্ছে

কিছু জার্মান ভার্সিটি তাদের কোর্সে আবেদনের জন্য তার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরের এপ্লিকেন্টদের কাছে ভিপিডি চেয়ে থাকে। আবেদন মৌসুমে একটা কোর্সে অসংখ্য আবেদন পড়ে, এত আবেদন প্রসেস করা অনেক সময় সাপেক্ষ ও দুস্কর। তাই ভার্সিটিগুলো প্রাথমিক একটা যাচাইয়ের ভার ইউনি-এসিস্টকে দিয়ে দেয়। এতে করে যোগ্যতার মাপকাঠিতে এপ্লিকেন্টদের শর্টলিস্ট করা তাদের জন্য সহজ হয়। পরে এডমিশন প্যানেলের প্রফেসরমণ্ডলী আরও খুঁটিনাটি যাচাই করে একজন এপ্লিকেন্টকে ঐ কোর্সে এডমিশন দেন।

- ভিপিডির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসের তালিকা

সকল একাডেমিক সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট দিতে হবে। নিচে নাম উল্লেখ করে দিলাম।

১। এসএসসি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
২। এইচএসসি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
৩। ব্যাচেলরের সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট

- যেভাবে ভিপিডি করাবেন

ইউনিএসিস্টের মাধ্যমে ভিপিডির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া নিচে পাঁচ ধাপে আলোচনা করা হল।

ধাপ-১। ইউনি-এসিস্টে অনলাইন একাউন্ট খোলা।

প্রথমে ইউনি-এসিস্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি অনলাইন একাউন্ট তৈরি করবেন। কোন ভুল তথ্য দিবেন না এবং ডেমো একাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন না, করলে পরে ঝামেলা হবে।

ওয়েবসাইটের একদম বামের বারে "বেসিক কোয়েশ্চন" দেখবেন। এটায় ক্লিক করে ধারাবাহিকভাবে সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর টাইপ করে করে সাবমিট করতে থাকবেন। প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য সাথে পাসপোর্ট, এসএসসি, এইচএসসি, ব্যাচেলরের সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট সাথে রাখবেন। ভুল-ত্রুটি হলে সমস্যা নেই, পরে আবার ঠিক করা যাবে।

ধাপ-২। ইউনি-এসিস্টে আপনার কোর্স খুঁজে বের করা।

"বেসিক কোয়েশ্চন" পূরণ করা হলে ওয়েবসাইটের বামে থাকা "সার্চ স্টাডি অফারস" ক্লিক করবেন। এই পেইজ থেকে আপনি আপনার কোর্স খুঁজে পাবেন। শুধু সেমিস্টার, কাঙ্ক্ষিত কোয়ালিফেকশন ও ভার্সিটির নাম সিলেক্ট করে নিচে সার্চ করবেন। উল্লেখ্য, একাডেমিক ফিল্ড বা কোর্সের নাম লিখে সার্চ করলে কিছুই আসবে না, সুতরাং তা করবেন না।

সার্চ করার পর রেসাল্টে দেখবেন, আপনার পছন্দের ভার্সিটির সকল বিষয়ে (alle Facher/all subjects) আবেদন করার অপশন আসছে। দুশ্চিন্তার কিছু নাই, ভিপিডি ইস্যু করানোর জন্য এটাই সিলেক্ট করতে হবে।

ধাপ-৩। সঠিকভাবে এপ্লিকেশন করা।

ক। এই কোন সেমিস্টারে ভর্তি হতে চান অপশনে ১ সিলেক্ট করবেন, যদি অন্য কোন প্ল্যান না থাকে।

খ। জেনারেল কোশ্চেনে ২ নম্বরে ঢুঁকে একাডেমিক তথ্য দিতে হবে। আপনার বেসিক কোশ্চেনে দেয়া উত্তরের ভিত্তিতে যদি অটোমেটিকালি পূরণ দেখায়, তবে প্রুফরিডিং করে দেখুন সব ঠিক আছে কিনা। ৩ নম্বরে পড়াশোনা শেষ করার পর থেকে আবেদন করার দিন পর্যন্ত কি করেছেন (জব/ইন্টার্নশিপ/ট্রেইনিং) তার তথ্য দিবেন।

গ। পরের পাতায় সুন্দরভাবে নামকরণ করে সকল প্রয়োজনীয় একাডেমিক সফটকপি আপলোড করবেন। কি ডকুমেন্ট দিতে হবে তা ভার্সিটির ওয়েবসাইটে দেয়া থাকবে। সচরাচর এসএসসি, এইচএসসি, ব্যাচেলরের সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট দিতে হয়। ভিপিডির জন্য ভাসা-সনদ দিতে হয়না।

ঘ। এপ্লিকেশন সাবমিট করে এপ্লিকেশন ফর্মের পিডিএফ ফাইল কম্পিউটারে সেভ করে রাখুন।

ধাপ-৪। ইউনি- এসিস্টের ফি দেয়া

শুধু ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি দেয়া নিয়ে আলোচনা করব। ইউনি-এসিস্টের পেমেন্ট অপশনে গিয়ে "ক্রেডিট কার্ড ফর্ম" নামিয়ে নিবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে তা পূরণ করে, সাইন করে অন্যান্য হার্ডকপির সাথে কুরিয়ার করে ইউনি-এসিস্টের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে। পরে ব্যাংকে ইমেইল বা ফোন করে জানিয়ে রাখতে হবে যাতে ইউনি-এসিস্টের পেমেন্টে ঝামেলা না করে।

ধাপ-৫। ডকুমেন্ট হার্ডকপি কুরিয়ার করা

ইউনি-এসিস্টের ঠিকানা, আপনার নাম, এপ্লিকেন্ট নম্বর, সিরিয়ালি সব ডকুমেন্টের নাম (যা খামের ভিতরে দিচ্ছেন) প্রিন্ট করে, ভাল C4 সাইজের খামের উপরে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিবেন। আর সকল ডকুমেন্ট সিরিয়ালি খামের মধ্যে দিয়ে DHL করে দিবেন।

- ভিপিডি প্রাপ্তির সম্ভাব্য সময়

৪ থেকে ৬ সপ্তাহ লাগবে। ইমেইল (২/৩ সপ্তাহ) ও বাই পোস্ট দুইভাবেই পাবেন। ইমেইলে পাওয়া সফটকপি দিয়েই ভার্সিটিতে আবেদন করে ফেলবেন, কোন সমস্যা হবে না।



- শেষকথা

ভিপিডি সম্বন্ধে সাধারণ ধারণা দেয়ার জন্য এই পোস্ট লিখা হয়েছে। এখানে দেয়া সকল তথ্য অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ভেরিফাই করে নিতে হবে। আবেদন করার সময় অবশ্যই ইউনি-এসিস্টের ওয়েবপেজ এর ইন্সট্রাকশন পড়া উচিৎ। ভিপিডি সংক্রান্ত আরও কোন প্রশ্ন থাকলে বিসাগের ব্লগ/ফেসবুক গ্রুপের সাহায্য অথবা কন্টাক্ট ফর্ম পূরণ করে ইউনি-এসিস্টকে ইমেইল করার পরামর্শ দেয়া হল।

বিসাগের ফেসবুক গ্রুপ 
(বাংলায় এবং সঠিক ট্যাগ যুক্ত করে পোস্ট করতে হয়।)
বিসাগ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নেয়া
বিসাগের অফিশিয়াল ট্যাগ তালিকা




"এই পোস্টের কোন কপিরাইট ধরা নেই। যেকোন মাধ্যমে কন্টেন্ট কপি করা যাবে, স্বত্ত্ব বা কার্টেসি না দিলেও হবে। আমার পোস্টে কোন ভুল থাকলে রেফারেন্স দিয়ে সংশোধন করে দিবেন। বিকৃতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে পরিবেশন করলে মামলা হবে, একদম ফেঁসে যাবেন!"